অ্যালোভেরার উপকারিতা-রূপচর্চা,সুস্বাস্থ্য ও ঔষুধি গুনাগুন

ভেষজ ঔষধ হিসেবে অ্যালোভেরার সুনাম সে প্রাচীনকাল থেকেই। সেই প্রাচীন কাল থেকেই এলোভেরা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ভীষণ উপকারী। এলোভেরার উপকার সম্পর্কে জানা নেই এমন মানুষ হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি ভীষণ উপকারী। একে আবার অনেকের কাছে ঘৃতকুমারী হিসেবে ও পরিচিত। হ্যাঁ, ঠিক তাই এটার অপর নাম ঘৃতকুমারী ও বলা হয়ে থাকে।

মানবদেহের জন্য ২২টি অ্যামিনো এসিড অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ। যা এই এলোভেরা বিদ্যমান রয়েছে। এই উদ্ভিদের পাতাগুলো রসালো। আর এই রসালো পাতায় রয়েছে বৃষ্ট রকমের খনিজ পদার্থ যা মানব দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচটি অ্যামিনো এসিড ছাড়াও রয়েছে। এই প্রয়োজনীয় ২২টি অ্যামিনো এসিড ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ,সি, বি ওয়ান, টু, সিক্স এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান। আমাদের শরীরে নানাবিধ রোগের জন্য যেমন এজমা, ড্যানড্রাফ, সিরিয়াসিস এ ধরনের রোগের মতো রোগ জটিল রোগের জন্য অ্যালোভেরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এলোভেরা স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে থাকে।
এটা দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো। পাতাগুলি পুরু দুধারে কাটাযুক্ত অনেকটা করাতের মত অনেকটা ক্যাকটাস গাছের মত।
প্রকৃতির গুন সম্পন্ন ভেষজ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী এর গুণের কথা ব্যাখ্যা করে শেষ করা যাবেনা। বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই উদ্ভিদের অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব রক্তের শর্কার মাত্র হ্রাস করে।
এলোভেরার উপকারিতা
এইতো রয়েছেন দায় হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে কোমল এবং দাগ মুক্ত করে উজ্জ্বল করে তোলে। স্কিন কেয়ার এর পাশাপাশি এটি চললে যত্ন ও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে এতে প্রচুর পর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিউটিফুল প্রোডাক্ট হিসেবে এক জনপ্রিয়তা ব্যাপক।
এলোভেরা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য আশ্চর্য রকম কাজ করে, নিয়মিত আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন তাহলে তো আপনার তবে নরম, মসৃণ
অ্যালোভেরার উপাদান
অ্যালোভেরা যে সমস্ত উপাদান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে।

•  লেকটিন
•  মেনাস এবং
•  পলিস্যাকরাইড

সব উপাদান গুলি ত্বকের উপর নানাভাবে উপকার করে থাকেন। এছাড়াও এটির অনেক ধরনের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। অনেক ধরনের রোগ নিরাময় করতে এলাবেনা জুড়ি নেই।

অ্যালোভেরার ব্যবহার

ত্বকের যত্নে এলোভেরা

দীর্ঘ বছর ধরে ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তোকে চুলকানি রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এলোভেরা তুলনা হয় না। শুষ্ক ত্বককে সজীব করে তোলে। যেকোনো পে ক অথবা সরাসরি এই জেল লাগালে তক উজ্জ্বল ও মুসলিম থাকে। সম্পূর্ণরূপে বয়সের ছাপ মুছে দেয়। এটি এলোভেরার ভিতরে এঞ্জেল বের করে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ উজ্জ্বল আর নরম হয়।

চুলের যত্নে এলোভেরা

শুধু টকই নয় চুলের যত এলোভেরার জুড়ি নেই। চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্ন এটি সমানভাবে উপকার। ছেলের জন্য এলোভেরা খুবই দরকারী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা ব্যবহারে মাথার ত্বকের পিএইচ ঠিক থাকে আর খুশিরও দূর হয়। টু 2:1 অনুপাতে যদি কেউ জেল আর ক্যাস্টর অয়েল মেশিয়ে। তবে তার চুলে কোনো ধরনের খুশকি জনিত সমস্যা থাকবে না এছাড়াও চুলের শুষ্ক ভাব করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এলোভেরা জেল। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যায় এলোভেরার ভিতরে বিদ্যমান। তাই এলোভেরার রসের সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে লাগালে একটু যদি আপনার চুলের লাগান আপনার চুলের উজ্জ্বলতা এত সুন্দর ভাবে বাড়বে যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

মুখের ব্রণ দূরীকরণে এলোভেরা

অ্যালোভেরা রয়েছে এমন সব উপাদান যা আপনার মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সক্ষম।রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।এই প্রাকৃতিক
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার মুখের ব্রণ সাড়াতে এবং নতুন কোষ জন্মাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এবং এটি 100% কার্যকারী

• এলোভেরার জেলের আইসকিউব ট্রেতে করে আইসকিউব তৈরি করার করতে হবে।
• এই কি অব দিনে দুই তিনবার আপনার ব্রনে ঘষলে আশা করি আপনার সমস্যা কমে যাবে?

ঠোঁটের যত্নে এলোভেরা

ঠোঁট নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম সমস্যায় ভুগছে। কেউ কেউ ঠোঁটের রং এবং উজ্জ্বলতা নিয়ে ভুগছে তো কেউ ঠোঁট নরম করার জন্য বিভিন্ন উপায় করছে। আপনাদের জন্য সহজ সমাধান হচ্ছে এলোভেরার ব্যবহার। এলোভেরা ঠোঁটের রং উজ্জ্বল রাখতে এবং ঠোঁট নরম আর মসটিং করতে এলোভেরা ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এলোভেরা জেল হোটেলে লাগালে ঠোঁট উজ্জ্বল হবে।

• ক্ষেত্রে আপনাকে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
• এক টেবিল চামচ চালের গুড়া অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন।
• এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে আলতো করে ঠোটে লাগিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন।
• এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
• এরপর আপনি নিজেই দেখতে পাবেন ঠোঁট কত উজ্জ্বল মসৃণ এবং কোমর হয়ে উঠেছে।

হজম প্রক্রিয়ায় অ্যালোভেরা

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। এর এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলী ঠান্ডা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি কেউ এক গ্লাস পানি বা গোরা শরবতের সাথে এলোভেরা জল মিশিয়ে খেতে পারে। সে দারুন উপকার পাবে। এবং তার হজম প্রক্রিয়া ক্লিয়ার হয়ে যাবে। তার হজম প্রক্রিয়া থাকার যত সমস্যা সব দূর হয়ে যাবে। এলোভেরা হজমে সহায়ক এবং এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই হজম জনিত সমস্যা যদি কারো থেকে থাকে সে উম্মা পিক সকালবেলা এলোভেরার ব্যবহার করলে তারই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারে।

ডায়াবেটিস সাড়াতে এলোভেরা

যারা ডাইবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। মনে রাখবেন এলোভেরা হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার একের ভেতরে অনেক গুণ রয়েছে। নিয়মিত এলোভেরার ব্যবহার আপনাকে সত্যি নয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ করবে।

ওজন কমাতে এলোভেরা

ওজন কমাতে ও অ্যালোভেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে আপনার যদি ওজন কমাতে চান আপনারা এলোভেরা জুস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জুস ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী এর এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোন পার্শ্ববর্তী প্রেসারাই ওজন কমাতে সাহায্য করে।